Home / নিত্যনতুন আপডেট / কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সফট স্কিলস

কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সফট স্কিলস

আপনি কর্ম ক্ষেত্রে যে কোন সেক্টরে থাকেন না কেন আপনাকে অবশ্যই সেক্টরে করে সফলতা অর্জন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কর্ম ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করার জন্য আপনাকে কিছু সফট স্কিল সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। 

এই সমস্ত স্কিল যদি আপনি আপনার কর্ম ক্ষেত্রে যে পর্যায়ে আছেন সেই পর্যায়ে এপ্লাই করেন, তাহলে সেটি আপনার সফলতার কারণ হবে। তাহলে আর দেরি না করে এখনি জেনে নেয়া যাক এই সমস্ত স্কিল সম্পর্কে। 

কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্কিল

যে কোন পর্যায়ের কর্ম ক্ষেত্রে আপনি বর্তমানে কাজ করেন না কেন সেখানে সফলতা অর্জন করার জন্য কিছু সফট স্কিল নিচে তুলে ধরা হলো: 

যোগাযোগের দক্ষতা

যখনই আপনি যে কারো সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ রাখতে পারবেন এবং একই সাথে মানুষের সাথে মিশতে পারবেন তখন আপনি যে কোন পর্যায়ে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 

যোগাযোগের দক্ষতা

কারণ, একজন মানুষের সাথে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা ও একজন মানুষকে বুঝতে পারার ক্ষমতাই আপনাকে মহৎ করে তুলে। তাই, যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এখন আপনি যদি যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে যে সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে পারেন সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো: 

সঠিকভাবে কথা বলা এবং শোনা: সর্বপ্রথম আপনাকে নিজের বক্তব্য পরীক্ষা ভাবে প্রকাশ করতে হবে, কিংবা প্রকাশ করা শিখতে হবে এবং তারপরে অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। 

যখন অন্য যে কেউ কথা বলবে তখন তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করবেন। সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন সেই ব্যক্তি যখন কথা বলবে তখন সেই কথা বলার মধ্যখানে আপনার কোন মতামত না দেয়ার। 

এটি ভদ্রতার পরিচয় দেয় এবং একই সাথে আপনার সাথে অপর ব্যক্তি কিরকম আচরণ করবে সেটা বুঝিয়ে দেয়৷ 

লিখিতভাবে যোগাযোগ করার ক্ষমতা: ইমেইল, প্রতিবেদন এবং অন্যান্য লিখিত ডকুমেন্ট সুন্দরভাবে তৈরি করতে পারতে হবে৷ এ সমস্ত ডকুমেন্টগুলো যখন আপনি সুন্দরভাবে লিখতে পারবেন তখন সেগুলো আপনার বর্তমান অবস্থা আরো বেশি উন্নত করবে। 

অ-মোখিক যোগাযোগ: স্বাভাবিকভাবে কথা বলা ছাড়াই যখন আমরা কারো সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি, তখন সেটিকে অ-মৌখিক যোগাযোগ বলা হয়। 

সেক্ষেত্রে এই যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, চোখের যোগাযোগ এবং অন্যান্য অ-মৌখিক সংকেত বোঝায়। আপনি যত বেশি একজন মানুষকে রিড করতে পারবেন তত বেশি আপনার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। 

দলগত কাজ করা 

এছাড়া আপনি যদি অন্যদের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারেন এবং ভবিষ্যতে কোন একটি দলের লোক হওয়ার জন্য সহায়তা করতে পারেন তাহলে সেটি আপনার বর্তমান অবস্থা আরো বেশি উন্নতি করবে। 

দলগত কাজ করা 

সেজন্য দলগত কাজ করার ক্ষেত্রে, বিভিন্ন রকমের হিকমত প্রদর্শন করতে পারেন। দলগতভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত হিকমত প্রদর্শন করতে পারেন সেগুলোর মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য হলো: 

সহযোগিতা পূর্ণ মনোভাব: যখনই আপনি অন্যদের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারবেন এবং একই সাথে কোন একটি দলের লক্ষ্য অর্জনের সহায়তা করতে পারবেন, তবে আপনি অন্যদের চেয়ে আলাদা থাকবেন৷ 

সেজন্য অবশ্যই সহযোগিতা প্রয়োজন। এবং একই সাথে কিভাবে পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা বজায় রাখা যায় সে বিষয়ে সচেষ্টা থাকা প্রয়োজন। 

দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলা : খুব সবাই করে যখন দলীয়ভাবে কোন কাজ করা হবে তখন মতবিরোধ দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে যখন মতবিরোধ দেখা দিবে তখন তা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ সার্বক্ষণিক দ্বন্দ্বনি নিরশনে কাজ করতে হবে এবং সবার সাথে যাতে ভালো ব্যবহার করা যায় এবং সবার সাথে যাতে ইনসাফ করা যায় সেক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকতে হবে। 

নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা: যখন আপনি প্রয়োজনে দলের নেতৃত্ব দিতে পারবেন এবং একটার সাথে অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারবেন, তখন আপনি অন্যদের চেয়ে আলাদা অবস্থানে থাকবেন এবং আপনি যে কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন সেই কর্মক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 

তবে যখন আপনার নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা একেবারেই কম তখন আপনি নেতৃত্ব প্রদান নিয়ে চিন্তা করবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমত নেতৃত্ব প্রদানের অপরিসীম ক্ষমতা অর্জন করতে হবে এবং তারপরে এই বিষয়ে এগিয়ে যেতে হবে। 

সমস্যা সমাধান

যখন আপনি সমস্যা সমাধান বের করতে পারবেন এবং একই সাথে এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে পারবে তখন আপনি যে কোনভাবে যে কোন কর্ম ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 

সে ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখা প্রয়োজন সেগুলো হল: 

সমস্যা চিহ্নিত করা: সম্ভব প্রথম আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে সে সমস্ত সমস্যাগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করার ক্ষমতা থাকতে হবে। এবং তারপরে এই সমস্ত সমস্যাগুলো ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। 

যখন আপনি একটি স্বাভাবিক সমস্যা চিহ্নিত করতে পারবেন এবং একই সাথে যদি বিশ্লেষণ করতে পারবেন, তখন আপনি এটি সমাধানের পথে অনেক দূরে এগিয়ে যাবেন। 

সম্ভাব্য সমাধান করা: এবার আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল আপনি যে সমস্যা আইডেন্টিফাই করেছেন সেই সমস্যার জন্য যে সম্ভাব্য সমাধান রয়েছে, সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। 

সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করার পরে আপনি আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে পারেন। তবে কখনোই নিজে থেকে সেই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবেন না, সর্বদাই চেষ্টা করবেন আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান করার। 

সঠিক সিদ্ধান্ত বেছে নেয়া: যখনই কোন একটি সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন তারপরে আপনি সমাধানের মধ্যে থেকে যে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন সেটি আপনাকে নির্বাচন করে নিতে হবে। এবং এজন্য আপনাকে প্রকার অধিকারী হতে হবে এবং বিশ্লেষণ করার ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে। 

এছাড়াও আরো যে সমস্ত কাজ আপনার কর্ম ক্ষেত্রে সফল করে তুলবে সেগুলো হল: 

সময় ব্যবস্থাপনা: কোন কাজগুলোর বেশি অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন এবং কোন কাজগুলো পরে করা প্রয়োজন সেটি আপনাকে আইডেন্টিফাই করতে হবে। এবং যখনই আপনি এটি আইডেন্টিফাই করতে পারবেন, তখন আপনি একটি ভালো অবস্থানে যেতে পারবেন। 

নমনীয়তা প্রদর্শন করা: সর্বদা যে কোন পজিশনে নমনীয়তা এবং অভিযোজন যোগ্যতা প্রদর্শন করা প্রয়োজন। যখন আপনি আপনার সহকর্মীদের সাথে নমনীয় হবেন তখন তারাও আপনার সাথে নমনীয় হবে এবং ভালো আচরণ করবে যা আপনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। 

সেজন্য খারাপ সময়ও নমনীয়তা অর্জন করা প্রয়োজন। 

সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এড়িয়ে চলা

সবসময় চেষ্টা করতে হবে যুক্তিসঙ্গত চিন্তাভাবনা করা এবং একই সাথে পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ থেকে বিরত থাকা। এছাড়াও যখন আপনার কোন কাজে সমালোচনা হবে তখন সেটি মাথায় না নিয়ে আপনাকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এবং একই সাথে যদি গঠনমূলক সমালোচনা হয় তাহলে সেই দিকে নজর দিতে হবে এবং নিজেকে ইমপ্রুভমেন্টের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। 

সফল হওয়ার জন্য আরো অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন উপায় রয়েছে যা আপনাকে একজন সফল ব্যক্তিত্ব করে করে তুলবে। তবে প্রাথমিকভাবে কিংবা মৌলিকভাবে আপনি যে সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে পারেন কিংবা যেভাবে আপনি একজন ভালো বিজনেসম্যান হতে পারেন বা আপনি যেই কাজে বর্তমানে রয়েছেন সেই কাজে সফল হতে পারেন সেগুলোর মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু মৌলিক বিষয় বলে তুলে ধরা হয়েছে। 

এ সমস্ত বিষয়গুলো আপনি যদি জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন এবং একই সাথে অত্যন্ত প্রজ্ঞার সাথে আপনি যদি এই সমস্ত বিষয়গুলো এপ্লাই করতে পারেন তাহলে সেটি আপনার ব্যক্তিগত জীবন এবং একই সাথে কর্মজীবনে সফলতা বয়ান দেয়। 

এছাড়াও আপনার যদি অন্য কিছু বিষয়ে জানা থাকে তাহলে আপনি সেটা আমাদেরকে কমেন্ট করতে পারেন। আমরা অতি শীঘ্রই আপনার প্রশ্নের জবাব নিয়ে হাজির হব। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *