আমরা যে বা যারা ছোট এপার্টমেন্টে বসবাস করি তারা তাদের অন্যতম প্রধান সমস্যার কারণ হচ্ছে এপার্টমেন্টকে সুন্দরভাবে সাজানো। এবং একই সাথে প্রয়োজনে যে সমস্ত আসবাবপত্র রয়েছে কিংবা অন্যান্য যে সমস্ত বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো সেখানে ভালোভাবে সাজিয়ে রাখা।
এরকম বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যে সমস্ত পদ্ধতিতে আপনি আপনার ছোট এপার্টমেন্টকে সাজাতে পারবেন এবং একই সাথে যেগুলো আপনার স্থান বাঁচাতে সহায়তা করবে।
আজকের এই আর্টিকেল আলোচনা করা হবে ছোট এপার্টমেন্ট সাজানো কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে যা অনুসরণ করলে আপনার অ্যাপার্টমেন্ট খুব সহজেই সাজাতে পারবেন এবং তোর সাথে সেটি যদি আকারে ছোট হয় তাহলেও সমস্যা হবে না।
ছোট্ট এপার্টমেন্ট সাজানোর পদ্ধতি
আপনি যদি কার্যকরী ভাবে ছোট এপার্টমেন্ট সাজাতে চান, তাহলে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন যা আপনার কাজকে আরো বেশি সাফল্যমন্ডিত করে তুলবে এবং অ্যাপার্টমেন্ট সাজানোর ক্ষেত্রে আপনাকে সহায়তা করবে।
বহুমুখী আসবাবপত্র ব্যবহার করা
সর্বপ্রথম আপনাকে যেই কাজটি করতে হবে সেটি হল আপনাকে এরকম খারাপ ব্যবহার করতে হবে যে সমস্ত আসবাবপত্র ব্যবহারে আপনি একটি আসবাবপত্র দ্বারা বিভিন্ন রকমের কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে বহুমুখী আপা পত্র ব্যবহার করতে হবে।
আপনি যদি বহুমুখী আর কত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে সেটি আপনার জায়গায় পরিমাণের উপর কোন রকমের প্রভাব ফেলবে না। দেখা যাবে আপনি পূর্বে একই কাজটি যখন তিনটি আসবাবপত্র ব্যবহার করার মাধ্যমে করতেন, বর্তমানে আপনি একটি আসবাবপত্র ব্যবহার করার মাধ্যমে সেই একই কাজটি করতে পারছেন।
এতে করে আপনার অ্যাপার্টমেন্টের জায়গা বেঁচে যাবে। এর মধ্যে কিছু উদাহরণ হল:
- সোফা কাম বিছানা।
- স্টোরেজ সহ কফি টেবিল।
- ভাজ করা যায় এমন ডাইনিং টেবিল, ইত্যাদি।
উপরে যে তিনটি বিষয়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে এরকম আপনি অনেক রকমের আপাতত পাবেন যেগুলো পরিমাণ একটি হবে, কিন্তু অনেকগুলো আসবাবপত্রের কাজ করবে।
উলম্ব স্থান ব্যবহার করুন
এই বিষয়টি বলতে বোঝানো হয়েছে আপনাকে এরকম ভাবে আসবাবপত্র সাজাতে হবে যাতে করে যে কোন আসবাবপত্র পূর্বের তুলনায় কম জায়গা নিতে পারে।
এক্ষেত্রে আপনি বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে।ন আর এগুলোর মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু পদ্ধতি হলো:
- দেয়ালে তাক তৈরি করুন।
- উঁচু বুকশেলফ ব্যবহার করুন।
- দেয়ালে ঝুলন্ত ক্যাবিনেট তৈরি করুন।
আলোর সঠিক ব্যবহার করা
এছাড়াও আপনি যদি আলোর সঠিক ব্যবহার করতে পারেন তাহলে সেটি আপনার জায়গা কমিয়ে দিবে এবং একই সাথে কম জায়গায় বেশি জিনিস আছে বলে মনে হবে।
এক্ষেত্রে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল প্রাকৃতিক আলো আসতে দিতে হবে৷ এবং যখন আপনি আপনার ঘরে আয়নার ব্যবহার করবেন তখন আয়নাতে যে আলো পড়বে সেই আলো প্রতিফলিত করে ঘরকে বড় দেখাতে সাহায্য করবে।
বিষয়টি একটু ট্রিকি হলেও আপনি এটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন, এটি আপনার ঘরকে পূর্বের তুলনায় আরো বেশি আকর্ষণীয় করতে সহায়তা করবে।
জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন
আপনি যখন একটি ছোট রুমের অধিবাসী হবেন এবং সেই রুমের সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন তখন আপনি সেই রুম থেকে ভাল আউটপুট পাবেন। অর্থাৎ আপনার ব্যবহৃত এবং ছোট হলেও সেটি আপনায় সেরকম কোনো সমস্যার মধ্যে ফেলবে না।
এক্ষেত্রে আপনাকে যে সমস্ত কাজগুলো করতে হয় তার মধ্যে থেকে অন্যতম একটি হলো জিনিসপত্র ভালোভাবে বুঝিয়ে রাখা এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো রুম থেকে সরিয়ে ফেলা।
আপনি যদি জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার জন্য স্টোরেজ বক্স বা ঝুড়ি ব্যবহার করেন তাহলে সেটি আরো বেশি কার্যকরী হবে। এতে করে আপনি অনেকগুলো অগোছালো জিনিস একখানে গুছিয়ে রাখতে পারবেন যাতে করে আপনার জায়গা বেঁচে যাবে এবং একই সাথে সুইটেবল মনে হবে।
দেয়ালের সঠিক ব্যবহার করা
এরকম অনেক কম্পনেন্ট কিংবা টুলস বিদ্যমান রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি চাইলে দেয়ালের মধ্যে জিনিসপত্র রাখতে পারবেন। তাও আবার আপনি ভালোভাবে সাজিয়ে সেটি রাখতে পারবেন।
আপনি চাইলে অনলাইন থেকে সে সমস্ত পণ্য ক্রয় করতে পারেন এবং ইউজার ফ্রেন্ডলিভাবে সেগুলো আপনার পারেন এবং সেখানে আপনার প্রয়োজনীয় যে সমস্ত পণ্য রাখা যেতে পারে সেগুলো রেখে দিতে পারেন।
উপরে যে সমস্ত বিষয়গুলোর কথা তুলে ধরা হয়েছে এ সমস্ত পদক্ষেপ অনুসরণ করলে আপনার রুম কিংবা এপার্টমেন্ট যদি ছোট হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিজেকে সেদিকে ভালোভাবে ম্যানেজমেন্ট করতে পারবেন এবং সেখানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঢুকিয়ে রাখতে পারবেন।
